রাতের বেলায় যে সকল সূরা ও আয়াত পড়ার ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে
রাতের বেলায় যে সকল সূরা ও আয়াত পড়ার ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:
🌀 ক. আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল সূরা পাঠ না করে ঘুমাতেন না সেগুলো হল ৪টি সূরা। যথা:
▪১) আলিফ লাম তানযীল (সূরা সাজদাহ)
▪২) তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মুলক)
▪১) আলিফ লাম তানযীল (সূরা সাজদাহ)
▪২) তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মুলক)
এ মর্মে হাদিস হল:
فروى الترمذي (2892) عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ ، وَتَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي
▪৩) সূরা ইসরা ও
▪৪) সূরা যুমার।
فروى الترمذي (2892) عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الم تَنْزِيلُ ، وَتَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي
▪৩) সূরা ইসরা ও
▪৪) সূরা যুমার।
এ মর্মে হাদিস হল:
روى الترمذي (3405) عن عَائِشَة رضي الله عنها قالت : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ ، وَبَنِي إِسْرَائِيلَ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي "
روى الترمذي (3405) عن عَائِشَة رضي الله عنها قالت : " كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ ، وَبَنِي إِسْرَائِيلَ " ، وصححه الألباني في " صحيح سنن الترمذي "
🌀 খ. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল সূরা পড়ে শরীর মাসেহ করতেন (শরীরে হাত বুলাতেন )। সেগুলো হল ৩টি সূরা। যথা:
▪১) সূরা ইখলাস
▪২)সূরা ফালাক
▪৩) সূরা নাস।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিছানায় গিয়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে এ ৩টি সুরা পড়ে তাঁর মাথা, মুখমণ্ডল এবং শরীরের উপরিভাগে যতদূর সম্ভব মাসেহ করতেন (হাত বুলাতেন)। তিনি এমনটি তিনবার করতেন।
এ ব্যাপারে হাদিস হল:
روى البخاري (5017) عَنْ عَائِشَةَ رضي الله عنها : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ، ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا : قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ ، يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ " .
▪১) সূরা ইখলাস
▪২)সূরা ফালাক
▪৩) সূরা নাস।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিছানায় গিয়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে এ ৩টি সুরা পড়ে তাঁর মাথা, মুখমণ্ডল এবং শরীরের উপরিভাগে যতদূর সম্ভব মাসেহ করতেন (হাত বুলাতেন)। তিনি এমনটি তিনবার করতেন।
এ ব্যাপারে হাদিস হল:
روى البخاري (5017) عَنْ عَائِشَةَ رضي الله عنها : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ، ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا فَقَرَأَ فِيهِمَا : قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ، ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ ، يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ " .
🌀 গ. সূরা কাফিরূন: শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: "এ সূরাটির মধ্যে রয়েছে শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা। তাই তিনি ঘুমের পূর্বে এটি পাঠ করতে বলেছেন।
এ মর্মে হাদিস হল:
روى أبو داود (5055) عن فروة بن نوفل عن أبيه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال لنوفل : ( اقرأ " قل يا أيها الكافرون " ثم نم على خاتمتها ، فإنها براءة من الشرك ) ، وصححه الألباني في " صحيح سنن أبي داود "
এ মর্মে হাদিস হল:
روى أبو داود (5055) عن فروة بن نوفل عن أبيه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال لنوفل : ( اقرأ " قل يا أيها الكافرون " ثم نم على خاتمتها ، فإنها براءة من الشرك ) ، وصححه الألباني في " صحيح سنن أبي داود "
🌀 ঘ. আয়াতুল কুরসী:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: "বিছানায় গিয়ে এই আয়াতটি পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন প্রহরী (ফেরেশতা) নিয়োগ দেয়া হয় এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারে না।
এ মর্মে হাদিস হল:
روى البخاري (3275) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : " وَكَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِي آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو مِنَ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ ، فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَذَكَرَ الحَدِيثَ - ، فَقَالَ : إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الكُرْسِيِّ ، لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنَ اللَّهِ حَافِظٌ ، وَلاَ يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ ذَاكَ شَيْطَانٌ )
এ মর্মে হাদিস হল:
روى البخاري (3275) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : " وَكَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِي آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو مِنَ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ ، فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَذَكَرَ الحَدِيثَ - ، فَقَالَ : إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الكُرْسِيِّ ، لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنَ اللَّهِ حَافِظٌ ، وَلاَ يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ ذَاكَ شَيْطَانٌ )
🌀 ঙ) সূরা বাকারা এর শেষ দুই আয়াত পাঠ:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: "যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারা এর শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে তা তার সারা রাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।" (হাদিসের ব্যাখ্যাকারীগণ বলেন: রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ কারীর জন্য রাতে নফল সালাত আদায় অথবা বিপদাপদ থেকে রক্ষা অথবা উভয়টির জন্য যথেষ্ট হয়)
এ মর্মে হাদিস হল:
وى البخاري (4008) ، ومسلم (807) عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ البَدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ البَقَرَةِ ، مَنْ قَرَأَهُمَا فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ
এ মর্মে হাদিস হল:
وى البخاري (4008) ، ومسلم (807) عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ البَدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ البَقَرَةِ ، مَنْ قَرَأَهُمَا فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ
🌀 চ. ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সূরা আলে ইমরানের শেষ দশটি আয়াত পাঠ:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাকে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এ দশটি আয়াত পাঠ করতেন।
এ মর্মে হাদিস হল:
روى البخاري (992) ، ومسلم (763) عَنْ كُرَيْبٍ ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما أَخْبَرَهُ : ( أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ وَهِيَ خَالَتُهُ : فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ وِسَادَةٍ ، وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا، فَنَامَ حَتَّى انْتَصَفَ اللَّيْلُ - أَوْ قَرِيبًا مِنْهُ - فَاسْتَيْقَظَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ ، ثُمَّ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ آلِ عِمْرَانَ ، ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ، فَتَوَضَّأَ، فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي )
আল্লাহু আলাম।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উক্ত আমলগুলো সম্পাদন করার তওফিক দান করুন। আমীন।
এ মর্মে হাদিস হল:
روى البخاري (992) ، ومسلم (763) عَنْ كُرَيْبٍ ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما أَخْبَرَهُ : ( أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ وَهِيَ خَالَتُهُ : فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ وِسَادَةٍ ، وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا، فَنَامَ حَتَّى انْتَصَفَ اللَّيْلُ - أَوْ قَرِيبًا مِنْهُ - فَاسْتَيْقَظَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ ، ثُمَّ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ آلِ عِمْرَانَ ، ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ، فَتَوَضَّأَ، فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي )
আল্লাহু আলাম।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উক্ত আমলগুলো সম্পাদন করার তওফিক দান করুন। আমীন।
উত্তর প্রদানে:
শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
গ্রাজুয়েশন, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব
শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
গ্রাজুয়েশন, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার/ট্যাগ করতে ভুলবেন না কিন্তু।
No comments:
Post a Comment