কেয়ামতের কিছু লক্ষণঃ
(১) নারীদের সংখ্যা বেশি হবে।
(২) পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ব্যবসা বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করবে।
(৩) দ্বীনি জ্ঞান উঠে যাবে, মূর্খতা বেড়ে যাবে।
(৪) পথভ্রষ্ট আলেম মানুষদেরকে গোমরাহ বানাবে।
(৫) নীচু শ্রেণীর ফালতু টাইপের লোকেরা মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কর্তৃত্ব করবে বা কথা বলবে।
(৬) অস্বাভাবিক মৃত্যু বেড়ে যাবে।
(৭) জিনা বেড়ে যাবে, মানুষ প্রকাশ্যে জিনা করবে।
(৮) অবৈধ সন্তান বেশি হবে।
(৯) ঘন ঘন ভূমিকম্প হবে।
(১০) মানুষ অল্প বয়ষ্ক, অযোগ্য লোকদের কাছ থেকে দ্বীন শিখবে।
(১১) আরব মরুভূমিতে আবার সমুদ্র বা নদী ও চাষাবাদ ফিরে আসবে।
(১২) অন্যায়ভাবে রক্তপাত ও মানুষ হত্যা বেড়ে যাবে।
(১৩) মুসলমানদের মাঝে কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে।
(১৪) মুসলমান নামধারী কিছু এমন নারী হবে যারা কাপড় পরিধান করবে যে, তার যেনো কাপড় পড়েও উলংগ।
(১৫) একদল লোক ঘোড়ার লেজের মতো হাতে চাবুক নিয়ে ঘোড়াফেরা করবে আর মানুষকে মারধর করবে।
(১৬) মসজিদ ডিজাইন করা নিয়ে মানুষ প্রতিযোগিতা করবে।
(১৭) মানুষ মসজিদে গিয়ে তাহিয়াতুল মসজিদের নামায আদায় না করেই বসে পড়বে।
(১৮) মসজিদে কুরানের তালীম না করে অন্য কিতাবের তালীম করবে।
(১৯) মুসলমানদের উপর অত্যাচারী, মারাত্মক জালেম শাসকরা চেপে বসবে।
(২০) গায়িকাদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। উপরের সবগুলো লক্ষণ কম বেশি দেখা যাচ্ছে, আল্লাহু আ'লাম। আল্লাহ আমাদেরকে ফিতনা-ফাসাদ থেকে বাচাওㅣ
কারো ভেতরটা কতটা পরিচ্ছন্ন তা বুঝতে হলে, তার সমালোচনার ভাষাগুলো শুনুন। একবার এক আলেমকে এক ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করল। তিনি চুপ করে সব শুনলেন। তারপর গালির জবাবে তার কিছু প্রসংশা করলেন এবং দু'আ করে দিলেন।
আশেপাশের লোকজন ওনার এই আচরণ দেখে অবাক হলেন। অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ লোক আপনাকে গালি দিল, আর আপনি তার প্রসংশা করলেন?!!
জাবাবে তিনি বললেন,
"তার ঝুড়িতে যা ছিল, তা সে আমাকে দিয়েছে। আমার ঝুড়িতে যা আছে, আমি তাকে তাই দিয়েছি।
আমার কাছে এগুলো ছাড়া আর কিছুই নাই
যার দ্বারা তার কথার জবাব দিতে পারি।
--সাবধান, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই; তোমরা যে অবস্থায় আছ তা তিনি অবশ্যই জানেন এবং যেদিন তাদেরকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে নেয়া হবে সেদিন তারা যা করত তিনি তাদেরকে তা জানিয়ে দেবেন। আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
(সুরা--আন নূর--৬৪)
No comments:
Post a Comment