২৬) সূরা আশ-শো’আরা ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ২২৭ - لا إله إلا الله محمد رسول الله

আপডেট তথ্য

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Sunday, April 15, 2018

২৬) সূরা আশ-শো’আরা ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ২২৭


২৬) সূরা আশ-শো’আরা ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ২২৭



بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ 
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। 
 
طسم
01
ত্বা, সীন, মীম। 
 
تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ
02
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। 
 
لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
03
তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন। 
 
إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّن السَّمَاء آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ
04
আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে। 
 
وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمَنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا عَنْهُ مُعْرِضِينَ
05
যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। 
 
فَقَدْ كَذَّبُوا فَسَيَأْتِيهِمْ أَنبَاء مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُون
06
অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে। 
 
أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الْأَرْضِ كَمْ أَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
07
তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি। 
 
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
08
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
09
আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু। 
 
وَإِذْ نَادَى رَبُّكَ مُوسَى أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
10
যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও; 
 
قَوْمَ فِرْعَوْنَ أَلَا يَتَّقُونَ
11
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না? 
 
قَالَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
12
সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে। 
 
وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَى هَارُونَ
13
এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন। 
 
وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
14
আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে। 
 
قَالَ كَلَّا فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ
15
আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব। 
 
فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
16
অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল। 
 
أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
17
যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও। 
 
قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
18
ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ। 
 
وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ الْكَافِرِينَ
19
তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন। 
 
قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ
20
মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম। 
 
فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكْمًا وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُرْسَلِينَ
21
অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন। 
 
وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ
22
আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ। 
 
قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ
23
ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি? 
 
قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا إن كُنتُم مُّوقِنِينَ
24
মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। 
 
قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ أَلَا تَسْتَمِعُونَ
25
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না? 
 
قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
26
মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা। 
 
قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
27
ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল। 
 
قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
28
মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ। 
 
قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ
29
ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব। 
 
قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُّبِينٍ
30
মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি? 
 
قَالَ فَأْتِ بِهِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
31
ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর। 
 
فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُّبِينٌ
32
অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল। 
 
وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاء لِلنَّاظِرِينَ
33
আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো। 
 
قَالَ لِلْمَلَإِ حَوْلَهُ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ
34
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর। 
 
يُرِيدُ أَن يُخْرِجَكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ
35
সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি? 
 
قَالُوا أَرْجِهِ وَأَخَاهُ وَابْعَثْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
36
তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন। 
 
يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ
37
তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে। 
 
فَجُمِعَ السَّحَرَةُ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
38
অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল। 
 
وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنتُم مُّجْتَمِعُونَ
39
এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও। 
 
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِن كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
40
যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়। 
 
فَلَمَّا جَاء السَّحَرَةُ قَالُوا لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِن كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ
41
যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো? 
 
قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَّمِنَ الْمُقَرَّبِينَ
42
ফেরাউন বলল, হঁ্যা এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে। 
 
قَالَ لَهُم مُّوسَى أَلْقُوا مَا أَنتُم مُّلْقُونَ
43
মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে। 
 
فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ
44
অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব। 
 
فَأَلْقَى مُوسَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
45
অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল। 
 
فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ
46
তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল। 
 
قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
47
তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। 
 
رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ
48
যিনি মূসা ও হারুনের রব। 
 
قَالَ آمَنتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ
49
ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব। 
 
قَالُوا لَا ضَيْرَ إِنَّا إِلَى رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
50
তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব। 
 
إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَن كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ
51
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী। 
 
وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِي إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
52
আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে। 
 
فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
53
অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল, 
 
إِنَّ هَؤُلَاء لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ
54
নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল। 
 
وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَائِظُونَ
55
এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে। 
 
وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَاذِرُونَ
56
এবং আমরা সবাই সদা শংকিত। 
 
فَأَخْرَجْنَاهُم مِّن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
57
অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম। 
 
وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
58
এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে। 
 
كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
59
এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক। 
 
فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ
60
অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল। 
 
فَلَمَّا تَرَاءى الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَابُ مُوسَى إِنَّا لَمُدْرَكُونَ
61
যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম। 
 
قَالَ كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
62
মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন। 
 
فَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنِ اضْرِب بِّعَصَاكَ الْبَحْرَ فَانفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ
63
অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল। 
 
وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ الْآخَرِينَ
64
আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম। 
 
وَأَنجَيْنَا مُوسَى وَمَن مَّعَهُ أَجْمَعِينَ
65
এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম। 
 
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
66
অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম। 
 
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
67
নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
68
আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ إِبْرَاهِيمَ
69
আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন। 
 
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا تَعْبُدُونَ
70
যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর? 
 
قَالُوا نَعْبُدُ أَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عَاكِفِينَ
71
তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি। 
 
قَالَ هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ
72
ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি? 
 
أَوْ يَنفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ
73
অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে? 
 
قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءنَا كَذَلِكَ يَفْعَلُونَ
74
তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত। 
 
قَالَ أَفَرَأَيْتُم مَّا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
75
ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ। 
 
أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ
76
তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ? 
 
فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ
77
বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু। 
 
الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ
78
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন, 
 
وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
79
যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন, 
 
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
80
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন। 
 
وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ
81
যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন। 
 
وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
82
আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন। 
 
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
83
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর 
 
وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
84
এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। 
 
وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
85
এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। 
 
وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ
86
এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম। 
 
وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
87
এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, 
 
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
88
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না; 
 
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
89
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। 
 
وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ
90
জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে। 
 
وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِلْغَاوِينَ
91
এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম। 
 
وَقِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
92
তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে। 
 
مِن دُونِ اللَّهِ هَلْ يَنصُرُونَكُمْ أَوْ يَنتَصِرُونَ
93
আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে? 
 
فَكُبْكِبُوا فِيهَا هُمْ وَالْغَاوُونَ
94
অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে। 
 
وَجُنُودُ إِبْلِيسَ أَجْمَعُونَ
95
এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে। 
 
قَالُوا وَهُمْ فِيهَا يَخْتَصِمُونَ
96
তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ 
 
تَاللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
97
আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম। 
 
إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
98
যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য গন্য করতাম। 
 
وَمَا أَضَلَّنَا إِلَّا الْمُجْرِمُونَ
99
আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল। 
 
فَمَا لَنَا مِن شَافِعِينَ
100
অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই। 
 
وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ
101
এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই। 
 
فَلَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
102
হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম। 
 
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
103
নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
104
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ الْمُرْسَلِينَ
105
নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে। 
 
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
106
যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই? 
 
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
107
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
108
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। 
 
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
109
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
110
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। 
 
قَالُوا أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْأَرْذَلُونَ
111
তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা? 
 
قَالَ وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
112
নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার? 
 
إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَى رَبِّي لَوْ تَشْعُرُونَ
113
তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে! 
 
وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ
114
আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই। 
 
إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
115
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী। 
 
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا نُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمَرْجُومِينَ
116
তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে। 
 
قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِي كَذَّبُونِ
117
নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে। 
 
فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِي مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
118
অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন। 
 
فَأَنجَيْنَاهُ وَمَن مَّعَهُ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
119
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম। 
 
ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبَاقِينَ
120
এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম। 
 
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
121
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
122
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
كَذَّبَتْ عَادٌ الْمُرْسَلِينَ
123
আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। 
 
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
124
তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই? 
 
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
125
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
126
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। 
 
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
127
আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন। 
 
أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ
128
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ? 
 
وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
129
এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে? 
 
وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ
130
যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
131
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর। 
 
وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ
132
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান। 
 
أَمَدَّكُم بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ
133
তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তান, 
 
وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
134
এবং উদ্যান ও ঝরণা। 
 
إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
135
আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি। 
 
قَالُوا سَوَاء عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ الْوَاعِظِينَ
136
তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান। 
 
إِنْ هَذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ
137
এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়। 
 
وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
138
আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না। 
 
فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَاهُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
139
অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
140
এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
كَذَّبَتْ ثَمُودُ الْمُرْسَلِينَ
141
সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। 
 
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَالِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
142
যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না? 
 
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
143
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
144
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। 
 
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
145
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন। 
 
أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ
146
তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে? 
 
فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
147
উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ? 
 
وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ
148
শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে ? 
 
وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ
149
তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
150
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর। 
 
وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ
151
এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না; 
 
الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ
152
যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না; 
 
قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
153
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন। 
 
مَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِآيَةٍ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
154
তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর। 
 
قَالَ هَذِهِ نَاقَةٌ لَّهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
155
সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের। 
 
وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ
156
তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে। 
 
فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا نَادِمِينَ
157
তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল। 
 
فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
158
এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
159
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ
160
লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। 
 
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
161
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ? 
 
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
162
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
163
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। 
 
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
164
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তা দেবেন। 
 
أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ
165
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর? 
 
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
166
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। 
 
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ
167
তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে। 
 
قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِينَ
168
লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি। 
 
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
169
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর। 
 
فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
170
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম। 
 
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
171
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। 
 
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
172
এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম। 
 
وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا فَسَاء مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
173
তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট। 
 
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
174
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
175
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
كَذَّبَ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ الْمُرْسَلِينَ
176
বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে। 
 
إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
177
যখন শো’আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না? 
 
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
178
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর। 
 
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
179
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। 
 
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
180
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন। 
 
أَوْفُوا الْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُخْسِرِينَ
181
মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। 
 
وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ
182
সোজা দাঁড়ি-পাল্লায় ওজন কর। 
 
وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَاءهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
183
মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না। 
 
وَاتَّقُوا الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالْجِبِلَّةَ الْأَوَّلِينَ
184
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছেন। 
 
قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
185
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম। 
 
وَمَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
186
তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। 
 
فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ السَّمَاء إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
187
অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও। 
 
قَالَ رَبِّي أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
188
শো’আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত। 
 
فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ إِنَّهُ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
189
অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব। 
 
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
190
নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না। 
 
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
191
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 
 
وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
192
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ। 
 
نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ
193
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে। 
 
عَلَى قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنذِرِينَ
194
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন, 
 
بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُّبِينٍ
195
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়। 
 
وَإِنَّهُ لَفِي زُبُرِ الْأَوَّلِينَ
196
নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে। 
 
أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ آيَةً أَن يَعْلَمَهُ عُلَمَاء بَنِي إِسْرَائِيلَ
197
তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে? 
 
وَلَوْ نَزَّلْنَاهُ عَلَى بَعْضِ الْأَعْجَمِينَ
198
যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম, 
 
فَقَرَأَهُ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا بِهِ مُؤْمِنِينَ
199
অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না। 
 
كَذَلِكَ سَلَكْنَاهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
200
এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি। 
 
لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
201
তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব। 
 
فَيَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
202
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না। 
 
فَيَقُولُوا هَلْ نَحْنُ مُنظَرُونَ
203
তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না? 
 
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
204
তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে? 
 
أَفَرَأَيْتَ إِن مَّتَّعْنَاهُمْ سِنِينَ
205
আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই, 
 
ثُمَّ جَاءهُم مَّا كَانُوا يُوعَدُونَ
206
অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে। 
 
مَا أَغْنَى عَنْهُم مَّا كَانُوا يُمَتَّعُونَ
207
তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে? 
 
وَمَا أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
208
আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল। 
 
ذِكْرَى وَمَا كُنَّا ظَالِمِينَ
209
স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়। 
 
وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ
210
এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি। 
 
وَمَا يَنبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
211
তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থøও রাখে না। 
 
إِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُولُونَ
212
তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে। 
 
فَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ فَتَكُونَ مِنَ الْمُعَذَّبِينَ
213
অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন। 
 
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
214
আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন। 
 
وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
215
এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন। 
 
فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
216
যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত। 
 
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
217
আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর, 
 
الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ
218
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন, 
 
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
219
এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন। 
 
إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
220
নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। 
 
هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَن تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ
221
আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে? 
 
تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
222
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর। 
 
يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
223
তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী। 
 
وَالشُّعَرَاء يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ
224
বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে। 
 
أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
225
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে? 
 
وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
226
এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না। 
 
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا وَانتَصَرُوا مِن بَعْدِ مَا ظُلِمُوا وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
227
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।




No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages