বিসমিল্লাহির-রাহ’মানির রাহী’ম।
জান্নাতে যাওয়ার সহজ আমল (পর্ব-২)
(৬) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ওয়াক্ত অনুযায়ী আদায় করতে যত্নবান হওয়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। সুতরাং, যে ব্যক্তি (এই পাঁচ ওয়াক্ত) সালাতের হক্কের ব্যপারে কোন প্রকার কমতি ও তাচ্ছিল্য না করে সঠিকভাবে সেইগুলো আদায় করবে, তার জন্য আল্লাহ এই অংগীকার করেছেন যে, তিনি তাকে জান্নাত দান করবেন। আর যে ব্যক্তি এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ব্যাপারে কমতি ও তাচ্ছিল্য করে তা আদায় করবে, তার প্রতি আল্লাহর কোন অংগীকার নেই। তিনি চাইলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন, আবার ক্ষমাও করতে পারেন।” হাদীসটি মুয়াত্তা ইমাম মালিক, মুসনাদে ইমাম আহমাদ, সুনানে আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে। শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে সহীহ বুখারীঃ ২৬৭৮, সহীহ মুসলিমঃ ১০৯।
.
(৭) ফযর ও আসরের সালাত সঠিক সময়ে আদায় করাঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি দুইটি ঠান্ডা সময়ের (অর্থাৎ, ফযর ও আসর) সালাতের হেফাজত করবে, সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সহীহ বুখারীঃ ৫৭৪, সহীহ মুসলিমঃ ১৪৭০।
এই দুইটি সময়ে ব্যস্ততা বা ঘুমের কারণে অনেকেই উদাসীন হয়ে সালাত কাযা করে ফেলে। একারণে এই দুইটি সালাত হেফাজত করার বিশেষ ফযীলত হিসেবে সে জান্নাতে যাবে।
.
(৮) পিতা-মাতার সেবা-যত্ন করা ও তাদের সাথে উত্তম আচরণ করাঃ
আল্লাহ তাআ’লা তাঁর বান্দাদেরকে ‘তাওহীদ’ (অর্থাৎ, শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করা এবং সমস্ত শিরক থেকে বেঁচে থাকার) পর দ্বিতীয় যেই মহা আদেশ দিয়েছেন তা হচ্ছেঃ পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তোমার প্রতিপালক এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না, এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে কখনো তাদের প্রতি বিরক্তিসূচক ‘উহ’ শব্দটাও বলো না এবং তাদেরকে কখনো ধমক দিয়ো না; বরং তাদের সাথে সম্মানসূচক নম্রভাবে কথা বলো। তাদের সামনে তুমি ভালোবাসার সাথে বিনয়াবনত থেকো এবং বলো, “হে আমার প্রতিপালক! আপনি তাদের উভয়ের প্রতি সেইরূপ দয়া করুন; যেইভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছে।” সুরা বানী ইসরাঈলঃ ২৩-২৪।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছি।” সুরা আ’নকাবুতঃ ৮।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “আমি তো মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার জননী কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে এবং তার স্তন্যপান ছাড়াতে দুই বছর সময় অতিবাহিত হয়। সুতরাং তুমি আমার (আল্লাহর) প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।” সুরা লুকমানঃ ১৪।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং কোন কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করো না। আর তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর।” সুরা আন-নিসাঃ ৩৬।
সঠিক সময়ে ফরয সালাত আদায়ের পর সর্বোত্তম আমল হচ্ছে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা এমনকি জিহাদের চাইতে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
আ’ব্দুল্লাহ ইবনু মাসউ’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট সবচাইতে বেশি প্রিয়?” তিনি বললেন, “যথা সময়ে সালাত আদায় করা।” আমি বললাম, “তারপর কোনটি?” তিনি বললেন, “পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।” আমি বললাম, “তারপর কোনটি?” তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” সহীহ বুখারীঃ ৫২৭, সহীহ মুসলিমঃ ৮৫, তিরমিযীঃ ১৭৩।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পিতা-মাতা জান্নাতের দরজা সমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দরজা। সুতরাং তুমি যদি চাও, তাহলে এই দরজাকে নষ্ট কর অথবা তার রক্ষণা-বেক্ষণ কর।” তিরমিযীঃ ১৯০০, ইবনু মাজাহঃ ২০৮৯, আহমাদঃ ২১২১০। হাদীসটি হাসান সহীহ, শায়খ আলবানী।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তার নাক ধূলি-ধূসরিত হোক, অতঃপর তার নাক ধূলি-ধূসরিত হোক, অতঃপর তার নাক ধূলি-ধূসরিত হোক, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধ অবস্থায় পেল; একজনকে অথবা দু’জনকেই। কিন্তু সে (তাদের খিদমত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে) জান্নাত যেতে পারল না।” সহীহ মুসলিমঃ ২৫৫১, আহমাদঃ ৮৩৫২।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে প্রশ্ন করল, “হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছ থেকে সদ্ব্যবহার পাওয়ার অধিকার সবচাইতে বেশি কার?” তিনি বললেন, “তোমার মায়ের।” সে বলল, “তারপর কার?” তিনি বললেন, “তোমার মায়ের।” সে বলল, “তারপর কে?” তিনি বললেন, “তোমার মায়ের।” সে বলল, “তারপর কে?” তিনি বললেন, “তোমার বাবার।”
অন্য এক বর্ণনায় আছে, “হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছ থেকে সদ্ব্যবহার পাওয়ার অধিকার সবচাইতে বেশি কার?” তিনি বললেন, “তোমার মা, তারপর তোমার মা, তারপর তোমার মা, তারপর তোমার বাবা, তারপর যে তোমার সবচাইতে বেশি নিকটবর্তী।” সহীহ বুখারীঃ ৫৯৭১, সহীহ মুসলিমঃ ২৫৪৮, ইবনু মাজাহঃ ২৭৩৮।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পিতার সন্তুষ্টিতেই আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তুষ্টিতেই আল্লাহর অসন্তুষ্টি।” তিরমিযীঃ ১৮৯৯, হাকিমঃ ৭২৪৯, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহুমা বলেন, “আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য মায়ের সাথে ভালো আচরণের চাইতে উত্তম কোন আমল আমার জানা নাই।” আদাবুল মমুফরাদঃ ৪, বাযযার, হাদিসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
.
(৯) জিহবা ও লজ্জাস্থানের হেফাযত করাঃ
মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল তার জিহবা ও লজ্জাস্থানের হেফাযত করা। কারণ, এই দুইটি অংগের কারণে সবচাইতে বেশি মানুষ জাহান্নামে যাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি এই দুইটি জিনিসের হেফাযতের দায়িত্ব নিবে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তার জান্নাতের ব্যাপারে দায়িত্ব নিবেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিহবা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (লজ্জাস্থান) হেফাযতের নিশ্চয়তা দিবে, আমি তার জান্নাতের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেব।” সহীহ বুখারী।
জিহবার হেফাজত করার মধ্যে রয়েছে কুফুরী, শিরকি কিংবা আল্লাহর নাফরমানির কথা বলা, গীবত, চোগলখুরী, মিথ্যা, অপবাদ, অন্যায়ভাবে অভিসম্পাত, গালি-গালাজ, অহংকার করা, কাউকে মনে কষ্ট দিয়ে কথা বলা, ইত্যাদি খারাপ কাজ থেকে জিহবাকে সংযত রাখা। আর লজ্জাস্থান হেফাযতের মধ্য রয়েছে অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা, পরকীয়া, জিনা-ব্যভিচার, সমকামীতা, হস্তমৈথুন ইত্যাদি অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা।
.
(১০) প্রত্যেক ফরয সালাতের পরে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করাঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, মৃত্যু ছাড়া আর কোন কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।” নাসায়ী, ইবনু হিব্বান, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
.
(১১) প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যাবেলায় আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে ‘সাইয়েদুল ইস্তেগফার’ পড়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সাইয়েদুল ইস্তিগফার হচ্ছে বান্দার এই কথা বলা যে, “আল্লা-হুম্মা আংতা রাব্বি. . .শেষ পর্যন্ত”। যে ব্যক্তি দিনে (সকাল বেলা) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দুয়াটি পড়বে, অতঃপর সে যদি সেইদিন সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বেই মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (সন্ধ্যাবেলা) এই দুয়াটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়ে, অতঃপর সে যদি সেই রাতে ভোর হওয়ার পূর্বেই মারা যায়, তাহলে সে জান্নাতীদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত হবে।” সহীহ বুখারীঃ ৬৩০৬, তিরমিযীঃ ৩৩৯৩, নাসায়ী।
‘সাইয়েদুল ইস্তিগফার’ অর্থ হচ্ছে, বান্দার কৃত গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সর্বোত্তম দুয়া।
.
(১২) প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় তিনবার জান্নাতের জন্য দুয়া করা ও তিনবার জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্যে দুয়া করাঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তিনবার জান্নাত প্রার্থনা করে, তখন জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে, “হে আল্লাহ তুমি তাকে জান্নাত দান করো।” আর যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তিনবার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তখন জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দুয়া করে, “হে আল্লাহ তুমি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও”। তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহঃ ৪৩৪০, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী, সহীহ আল-জামিঃ ৬২৭৫।
জান্নাত প্রার্থনা করা ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়ার জন্য দুয়াঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকাল জান্নাতা, ওয়া আ’উযুবিকা মিনান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি, আর আমি আপনার কাছে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
.
(১৩) প্রতিদিন সুরা মুলক পড়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সুরা আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটা হলো ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ (সুরাহ মুলক)।” তিরমিযীঃ ২৮৯১, আবু দাউদঃ ১৪০০, ইবনে মাজাহঃ ৩৭৮৬, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
.
(১৪) অহংকার, গুলুল ও ঋণ থেকে মুক্ত থাকাঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি অহংকার, গুলুল ও ঋণ; এই তিনটি জিনিস থেকে মুক্ত থাকা অবস্থায় মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে।” ইবনে মাজাহঃ ২৪০৩, তিরমিযীঃ ১৫৭২, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী, সহীহ তিরমিযী।
‘গুলুল’ হচ্ছে জিহাদে প্রাপ্ত গনীমতের সম্পদ বন্টন করার পূর্বেই লুকিয়ে রেখে বা চুরি করে আত্মসাৎ করা।
(১৫) মনোযোগী হয়ে, আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আযানের উত্তর দেওয়াঃ
আযানের সময় মুয়াজ্জিন যা যা বলে, তার সাথে তাই বলতে হবে। শুধুমাত্র মুয়াজ্জিন যখন “হাইয়্যা আ’লাস সালাহ” ও “হাইয়্যা আ’লাল ফালাহ” বলবে, তখন তার উত্তরে সেটা না বলে বলতে হবে “লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ”।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আযানের উত্তর দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” সহীহ মুসলিমঃ ৩৮৫।
.
(চলবে, ইন শা আল্লাহ।)
No comments:
Post a Comment