হে আমার স্বামী ! দয়া করে, তুমি আমাকে তোমার মায়ের চেয়ে বেশী ভালবেসো না - لا إله إلا الله محمد رسول الله

আপডেট তথ্য

Home Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, February 13, 2018

হে আমার স্বামী ! দয়া করে, তুমি আমাকে তোমার মায়ের চেয়ে বেশী ভালবেসো না

হে আমার স্বামী ! দয়া করে, তুমি আমাকে তোমার মায়ের চেয়ে বেশী ভালবেসো না, সে আমার চেয়ে বেশী তোমার ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য । কেননা সে তোমাকে গর্ভধারন করেছে, জন্ম দিয়েছে, দুধ পান করিয়েছে, কষ্ট শিকার করেছে, লালন-পালন করেছে, রাত জেগেছে যতক্ষন
না তুমি...পুরুষে পরিণত হয়েছ, অত:পর তুমি আমাকে বিবাহ করতে এসেছ ।
জেনে রাখ, হে আমার স্বামী , যদি তুমি আমাকে তোমার মায়ের চেয়ে বেশী ভালবাস,তবে আমাদের জন্য আল্লাহর গজবের দ্বার খুলে যাবে , আমাদের বৈবাহিক জীবনের বরকত উঠিয়ে নেয়া হবে, হয়ত আল্লাহ তোমার-আমার অন্তর পরিবর্তন করে দিবে, তখন আমাদের ভালবাসা বিধায় নিবে । আর তোমার মায়ের চেয়ে বেশী এ ধরনের ভালবাসা আমার কোন উপকারে আসবে না ।
হে আমার স্বামী! দয়া করে, তুমি আমাকে তোমার বোনের চেয়ে বেশী ভালবেসো না , কেননা সে হচ্ছে তোমার আত্মীয়, যা অটুট রাখার জন্য আল্লাহ ওছিয়ত করেছেন, এবং অঙ্গিকার করেছেন যে তার সাথে সম্পর্ক রাখবে তিনি তার সাথে সম্পর্ক রাখার । তুমি আমাকে এক বাক্য দ্বারা তালাক দিতে পারবে, তাতে তোমার সাথে আমার সম্পর্কের ইতি ঘটবে, কিন্তু তুমি তার সাথে এ রকম করার ক্ষমতা রাখনা ।
তার (বোন) সাথে তোমার সম্পর্কের শুরু-শেষ নেই, একটি বাক্য দ্বারা ভেঙ্গে যায় না , সে যদি তোমার চেয়ে বড় হয় তবে তোমার লালন-পালনের ক্ষেত্রে তোমার মাকে সাহায্য করেছে, অতএব তোমার উপর মায়ের মত তার কিছু অধিকার রয়েছে, আর সে যদি তোমার চেয়ে ছোট হয় তবে তোমার তাকে লালন-পালনের অধিকার রয়েছে । তুমি তার জন্য বাবার মত ।
যদি তুমি আমার সাথে সম্পর্ক রাখ এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কর, তবে আল্লাহতোমার সম্পর্কে ছিন্ন করে দিবে, তোমার বোনের চেয়ে আমার প্রতি তোমার বেশী ভালবাসা আমার কোন উপকারে আসবে না ।
হে আমার স্বামী! দয়া করে, তুমি আমাকে তোমার মেয়ের চেয়ে বেশী ভালবেসো না, সে তোমার সম্মান, কিয়ামতের দিন তুমি তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে, যদি তুমি আমাকে দেখ যে, আমি তার প্রতি অমনোযোগী, বা মনভোলানো আচরণ করছি কিংবা তাকে ও তার স্বভাবকে জানা ব্যতীত ছেড়ে দিচ্ছি, তবে তোমার উপর আবশ্যক ঐ ব্যাপারে আমাকে নিষেধ করা, তার ব্যাপারে আল্লাহর শাস্তির নিকট দাড়ঁ করিয়ে দেওয়া ।কত সংখ্যক স্বামী রয়েছে ? তার স্ত্রীর উপর রাগান্বিত না হওয়ার কারনে তাদের মেয়ে আল্লাহর প্রতিষ্ঠিত দ্বীন থেকে দূরে সরে বেড়েওঠার ক্ষেত্রে ছেড়ে দিয়েছে । সে সমাজের জন্য মেকী ও ধ্বংসাত্মক যুবতী হিসেবে বের হচ্ছে ।
যদি তুমি এটা কর, তবে আমাদের ঘর হবে পরিবারের মূল শর্ত বঞ্চিত । তা হল, মুসলিম পরিবার প্রতিষ্ঠা যা সমাজের জন্য ফলদায়ক, পূণ্যবতী ও উপকারী । আর তোমার মেয়ের চেয়ে এ ধরনের বেশী ভালবাসা আমার কোন উপকারে আসবে না ।
হে আমার স্বামী! দয়া করে, তুমি আমাকে ভালবেসো না এ কারনে যে, আমি তোমার ঘর পরিষ্কার করি, তোমার জন্য খাবার তৈরী করি, তোমার কাপড় পরিষ্কার করি, রাত জেগে তোমার সেবা করি, তোমার সন্তানদের সেবা করি, কেননা এটা আমার উপকারের ভালবাসা, আর কোন কারনে উপকার চলে যাওয়ার সাথে সাথে তা চলে যাবে ।
হে আমার স্বামী! দয়া করে, তুমি আমাকে ভালবেসো না আমার আকৃতির গুনাবলীর কারনে, কেননা তা রোগের কারনে বা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে চলে যায়, তখন কালেরঅতিক্রমে ভালবাসা ঝরে যাবে এবং আমি পরিণত হব তোমার কাছে পুরনো আসবাবপত্রের মত – যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া উচিত ।
আশা করি তুমি আমাকে ভালবাসবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের ক্ষেত্রে আমার সামর্থ ও প্রচেষ্টার অনুযায়ী আমাকে ভালবাস । আর এই ভালবাসা স্থায়ী হবে, এই ভালবাসাউপকারে আসবে, এই ভালবাসা আমাদেরকে কিয়ামতের দিন আরশের ছায়াতলে স্থান দিবে, যে দিন তার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না ।
রাসুল(সঃ)বলেন ,
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ গোটা দুনিয়াই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হলো পূর্ণবতী স্ত্রী। (মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) বলেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সবচাইতে উত্তম, সে-ই পূর্ণাঙ্গ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেই সব লোক উত্তম, যারা তাদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম।(তিরমিযী)
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) এর বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ) বলেনঃ কোন স্ত্রী লোক যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে, তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(তিরমিযী)
হে আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফীক দাও । আমীন!
"হে নারী যে পথে তুমি খুঁজে পাবে জান্নাত"

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages