- لا إله إلا الله محمد رسول الله

আপডেট তথ্য

Home Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, February 13, 2018

demo-image
Responsive Ads Here
আগে সন্তান-পিতামাতা, ভাইবোন, ইত্যাদি ভালোবাসার কথা বলে জিনিসটাকে একটা ইনোসেন্ট রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হতো। এখন কিসু ডে, চকলেটু ডে, হাগু ডে করে প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে আসলে যে বিষয়টা খুব একটা ইনোসেন্ট না।
.
প্রিয় পাঠক, আল্লাহ আমাদের সবচেয়ে ভালোটা চান বলেই তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব অশ্লীলতা হারাম করে দিয়েছেন। তিনি বলে দিয়েছেন- "যিনার কাছেও যেওনা।" রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুই চক্ষুর যিনা হচ্ছে- দেখা, দুই কানের যিনা হচ্ছে- শুনা, জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, হাতের যিনা হচ্ছে- ধরা, পায়ের যিনা হচ্ছে- হাঁটা, অন্তর কামনা-বাসনা করে; আর যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা করে না।” ( সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
.
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন, শুধু যৌনতার খায়েশকে কেন্দ্র করে ভেসে যেতে আপনাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলা সৃষ্টি করেননি। বরং ইসলাম সেজন্য বিয়ের বিধান দিয়েছে। আপনার যৌবন আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যত্রতত্র ব্যয় করার জন্য তা আল্লাহ আপনাকে দেননি। বরং তা করলে যে মর্মন্তুদ শাস্তি পেতে হবে তা খুব ভয়াবহ হবে।
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "গত রাতে আমি এক স্বপ্নে দেখি দু'জন (ফেরেশতা) আমার কাছে এসে আমায় জাগিয়ে দিল এবং বলল, "সামনে চলুন।" আমি তাদের সাথে যাত্রা শুরু করলাম আর... সুতরাং আমরা এগুলাম আর চুল্লীর মতো কিছু দেখলাম ঐ চুল্লী থেকে অনেক কান্না ও শোরগোল শোনা যাচ্ছিল। আমরা এর দিকে তাকিয়ে উলঙ্গ নারী পুরুষ পেলাম যাদের নিচে থেকে আগুনের শিখা উপড়ে উঠছে। যখনই তা তাদের পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল তারা চিৎকার করে কান্না করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "এরা কারা"? তারা বললো, "সামনে চলুন"... আমার দু'জন সঙ্গী আমায় বললো,... আপনি চুলার মতো জায়গায় যে উলঙ্গ নারী-পুরুষকে দেখলেন এরা ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারী নারী।"( সহীহ আল-বুখারী) [মূল হাদিসটা অনেক বড়। এখানে সম্পর্কিত অংশটা উল্লেখ করা হয়েছে কেবল।]
.
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, " যে ব্যাক্তি যেনা করে কিংবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ছিনিয়ে নেন, যে ভাবে কোন ব্যাক্তি তার জামা মাথার উপর দিয়ে খুলে ফেলে । (হাকেম)
.
আপনার যদি সামান্য পরিমাণ আল্লাহর ভয় থাকে তবে একজন নারী যিনি আপনার জন্য হালাল নয় তার সামান্য স্পর্শও আপনার জন্য মাথায় পেরেক ঠোকার চেয়ে ভয়াবহ লাগার কথা। যেমনটা বলেছিলেন ইউসুফ আলাইহিস সালাম- "আমি আল্লাহকে ভয় করি।"
.
প্রতিরোধ করা জরুরী। যে যেখান থেকে যা করতে পারি, আমাদের তাই করা উচিত বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে।
.
করণীয়:
১. আপনার মসজিদের খতিব সাহেবকে অনুরোধ করুন আজ জুমু'আর বয়ানটা যাতে এ সংক্রান্ত হয়। দরকার হলে বোঝান।
২. যার যার জায়গা থেকে দাওয়াহ-নসীহাহ দিন, সতর্ক করুন। বোঝান।
৩. প্রশাসনকে খুব ভালো করে বোঝান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পারলে বোঝান। অভিভাবকদের বোঝান যে এর ফল কী পেতে যাচ্ছি আমরা।
৪. নিজের আইডি, গ্রুপ, পেইজ থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রতিবাদ করুন।
৫. সাস্টেইনেবল প্ল্যান করুন। ভাবুন কী কী করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যাতে হিতে বিপরীত না হয়।
৬. দু'আ করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। দু'আ হচ্ছে মু'মিনের অস্ত্র।
.
যে ভাইবোনেরা প্রেম (মূলত যিনার একরূপ) নামক মিঠে আলাপে মন গলিয়ে বসে আছেন তাদের বলছি-
না, আপনার জীবন বলে আপনি যাচ্ছেতাই করতে পারেন না। আপনার দশ তলা থেকে লাফ দিতে গেলে এগিয়ে যাও বলা লোকেরা আপনার শত্রু। গালে চড় দিয়ে ফিরিয়ে আনারা আপনার বাবা-মা-শুভাকাঙ্ক্ষী। আজ না বুঝলেও কাল যখন বুঝবেন তখন ক্ষতি হয়ে যাবে অনেক বেশি। ইসলামে প্রেম আছে- তবে তা বিয়ের মাধ্যমে হালাল উপায়ে। বিয়ের আগে নয়।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages